Monday, September 15, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollজামিয়া কাণ্ডে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন দিল্লি আদালতে

জামিয়া কাণ্ডে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন দিল্লি আদালতে

নয়াদিল্লি: জামিয়া দাঙ্গা মামলায় (Jamia Riots Case) দিল্লি আদালতে (Delhi Court) শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হল। অভিযোগ, একটি একটি সম্প্রদায়কে আরেকটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিয়েছিলেন শারজিল।

২০১৯ সালের জামিয়া দাঙ্গার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর( কিংপিন) ছিলেন শারজিল ইমাম (Sharjeel Imam) । তাঁর ভাষণের ছিল উগ্র বিষের তীব্রতা। মন্তব্য আদালতের।

সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্টকে (Citizenship Amendment Act) কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর হওয়া প্রতিবাদ জমায়েত থেকে শুরু হয় হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক দাঙ্গা পরিস্থিতি। বিচারক বিশাল সিং-এর অভিমত, এই পরিস্থিতি তৈরির পিছনে মূল মাথা ছিলেন শারজিল ।

আরও পড়ুন: মরিশাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেওয়া হল গার্ড অফ অনার

তাঁর উসকানিমূলক ভাষণে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। একটি সম্প্রদায়ের মনে রাগ ও ঘৃণা তৈরি করতে হিসাব কষে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। বস্তুত উত্তেজিত মানুষকে পথে নামার উস্কানি দেন তিনি।

শারজিল ছাড়াও আশু খান, চন্দন কুমার এবং আসিফ ইকবাল তানহার বিরুদ্ধে জনগণকে হিংসায় এগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মোবাইল লোকেশন ডাটা এবং সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ইন্টারভিউ প্রমাণ হিসেবে মামলায় যুক্ত হয়েছে।

শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যদিও দিল্লির মতো জায়গায় সার্বিক চাক্কা জ্যাম বা রোড ব্লকের ডাক দিলে তা শান্তিপূর্ণ থাকার সম্ভাবনা কম। সওয়াল শারজিলের।

প্রসঙ্গত, সেই অগ্নিগর্ভ দিনে জামিয়া নগর এলাকায় অজস্র সরকারি বাস, বেসরকারি গাড়ি এবং পুলিশি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট পাথর ছোড়া হয়।

আদালতের মতে, এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক নয়, বরং পরিকল্পিত পরিকল্পনার প্রতিচ্ছবি।

আর এই পরিস্থিতি তৈরির পিছনে ১১ ডিসেম্বর আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৩ ডিসেম্বর জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জিলের ভাষণ ওই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে।

দেখুন অন্য খবর:

Read More

Latest News